শুক্রবার, ১৩ মে, ২০১১

সুমিন শাওন


শহরের শেষপ্রান্তে শাদাবাড়ি থাকতে নেই

পাঁচ-পাঁচটি সমুদ্র পায়ে পুনপুনি পূর্ণিমার প্রিয়ন্তি পায়েল
জলছাপে হেঁটেছিলো বালুকাবেলায়, টেরাকোটা কীর্তিমান  
প্রীতম শহর। তবু স্থলতেষ্টায় পোড়ে 
নিঃসঙ্গ প্রহরের নিঃসীম অধর
আর শহরের শেষপ্রান্তে লালটিপ রাতজাগা দুধশাদা বাড়ি।

তদ্দিনে সামান্তরিক আমরাও জেনে গেছি নীল বিপ্রতীপ 
পরিযায়ী বিম্বিসার বিভূতি ভীষণ, আঙুলে আঙুল ঘষে  
মরু জোছনায়, রূপালি সিনান শেষে ভাটায় ভ্রমণ;

শহরের শেষপ্রান্তে শাদাবাড়ি থাকতে নেই

শহরের শেষপ্রান্তে শাদাবাড়ি মানেই  

ব্ল্যাকবেরি পূর্ণিমায় সন্ত বা শালিকের শুভ্র পতন 
শহরের শেষপ্রান্তে শাদাবাড়ি মানেই 
জরিন উনুনে পোড়া জুঁইফুল বালিকার বেগুনি দহন।  

তাই পথ হাঁটলেই-
শহরের শেষপ্রান্তে শাদাবাড়ি থাকতে নেই।

এখানে সঙ্গম বলতে কিছু নেই

বুকখোলা প্রদীপের প্রদীপ্ত জ্বালামুখি ডালিম শিখায়  
মৃন্ময়ী মিলনের লাজরাঙা মৌটুসি ফোঁটায় ফোঁটায়  
গালিচার গতরে ঘামে ও ঘ্রাণে বোনা শিউলি দহন  
তবু  
সূর্য ডোবার আগে সূর্যস্নানে ফেরার শত আয়োজন  
নারঙ্গী নম্রতায় জয়তুন জলরঙের কী বিপুল বিভাস;   

অথচ শালপ্রাংশু শালিকেরা জানে
এখানে সঙ্গম বলতে কিছু নেই;  
শুধু প্রদীপ্ত পৌরুষের কর্ষণেতিহাস  
শাদাকালো জোছনার ভরা নদী নেয়ে  
পূর্ণিমা রোদে ভেজার তুমুল তিয়াস।   

এখানে আঙুল রাখো, মরণ!  
দেখো  
মাঝরাতে পূর্ণিমায় পরিপাটি পুরুষের পিতৃদহন! 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন