শহরের শেষপ্রান্তে শাদাবাড়ি থাকতে নেই
পাঁচ-পাঁচটি সমুদ্র পায়ে পুনপুনি পূর্ণিমার প্রিয়ন্তি পায়েল
জলছাপে হেঁটেছিলো বালুকাবেলায়, টেরাকোটা কীর্তিমান
প্রীতম শহর। তবু স্থলতেষ্টায় পোড়ে
নিঃসঙ্গ প্রহরের নিঃসীম অধর;
আর শহরের শেষপ্রান্তে লালটিপ রাতজাগা দুধশাদা বাড়ি।
তদ্দিনে সামান্তরিক আমরাও জেনে গেছি নীল বিপ্রতীপ
পরিযায়ী বিম্বিসার বিভূতি ভীষণ, আঙুলে আঙুল ঘষে
মরু জোছনায়, রূপালি সিনান শেষে ভাটায় ভ্রমণ;
শহরের শেষপ্রান্তে শাদাবাড়ি থাকতে নেই
ব্ল্যাকবেরি পূর্ণিমায় সন্ত বা শালিকের শুভ্র পতন
শহরের শেষপ্রান্তে শাদাবাড়ি মানেই
জরিন উনুনে পোড়া জুঁইফুল বালিকার বেগুনি দহন।
তাই পথ হাঁটলেই-
শহরের শেষপ্রান্তে শাদাবাড়ি থাকতে নেই।
এখানে সঙ্গম বলতে কিছু নেই
বুকখোলা প্রদীপের প্রদীপ্ত জ্বালামুখি ডালিম শিখায়
মৃন্ময়ী মিলনের লাজরাঙা মৌটুসি ফোঁটায় ফোঁটায়
গালিচার গতরে ঘামে ও ঘ্রাণে বোনা শিউলি দহন
তবু
সূর্য ডোবার আগে সূর্যস্নানে ফেরার শত আয়োজন
নারঙ্গী নম্রতায় জয়তুন জলরঙের কী বিপুল বিভাস;
অথচ শালপ্রাংশু শালিকেরা জানে,
এখানে সঙ্গম বলতে কিছু নেই;
শুধু প্রদীপ্ত পৌরুষের কর্ষণেতিহাস
শাদাকালো জোছনার ভরা নদী নেয়ে
পূর্ণিমা রোদে ভেজার তুমুল তিয়াস।
এখানে আঙুল রাখো, মরণ!
দেখো
মাঝরাতে পূর্ণিমায় পরিপাটি পুরুষের পিতৃদহন!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন