শনিবার, ১৪ মে, ২০১১

দেবাশীষ তেওয়ারী


হরিণ ও বেড়াল

হরিণ ত্যামন কোনও জটিল প্রাণী না
অবশ্য এটা ভাববার কোনও কারণ নেই যে হরিণ সম্পর্কে
                                  আমি বিস্তর জানি
বা পড়াশোনা করে খুব জানতে চেয়েছি কোনওকালে
তাই বলে একেবারেই কিছু জানি না, বিষয়টা ত্যামনও নয়
তাহলে বিষয়টা যা দাঁড়ালো তা হলো এরকম  যে
হরিণ সম্পর্কে আমি কিছু কিছু জানি আর কিছু কিছু জানি না
মৃত্যু সম্পর্কেও সেরকম-  কিছু কিছু মানি আর কিছু কিছু মানি না

যদিও এ বিষয়টার সঙ্গে ত্যামন কোনও সম্পর্ক নেই প্রেমের
তবু এই কথা আমি হলফ করে আঙুল দিয়ে দেখাতে পারি না

যেমন গুতো মেরে বেড়ালটাকে তাড়িয়ে দেবার পরও
রাত্রিবেলায় বিছানায় এসে পাশে শুয়ে ক্যামন সুন্দরবনের গন্ধ ছড়ায়
এই গন্ধ মস্তিষ্কে এসে বৈজ্ঞানিক উপায়ে প্রপঞ্চ ছড়ালে
ত্যামন কিছু না ভেবেই আমি অসম্ভব বেড়াল-প্রেমিক হয়ে উঠি
অন্ধকারে বেড়ালকেই হরিণ ভাবি, সোনার হরিণ
আর বেড়ালটি মিউ মিউ করে সন্তাপ সংগীত শোনালে
ওকে ক্ষমা করে দিতে আমিই ঈশ্বর হয়ে উঠি
ঈশ্বর ত্যামন কোনও জটিল প্রাণী না
যদিও ঈশ্বর সম্পর্কে আমি ত্যামন কিছু জানি না
তাই বলে এটা ভাববার কোনও অবকাশ নেই যে,
ঈশ্বর সম্পর্কে আমি একেবারে কিছুই জানি না।

মরিয়ম

নিজের রূপের মূল্য জেনে গ্যাছে মরিয়ম, বলে রাখি একদিন তার মদের গেলাসে সোডিয়াম মেশাতে গিয়ে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম এই ভেবে যে, গ্রাম থেকে আসা এই নিরক্ষর মেয়েটি অধিকতর প্রকৃত- সম্পূর্ণ পাঠের জন্য প্রকাশিত নীল মলাট পুস্তিকা; একে ভুলিয়ে ভালিয়ে মক্তবের পথ থেকে এখানে এনেছে যে, সে মহপ্রাণ স্টেশানে নিজের টিকিট দান করে তাকে ঠেলে দিয়েছে- রেইন ফরেস্ট, এখানে জঙ্গল নিজের নিয়মে প্রপঞ্চপ্রবণ। যুদ্ধক্ষেত্র। বাঘ ও হরিণ এই দৃশ্যে লুটোপুটি খায়। জলজ-কান্তার। মরিয়ম, জলকে জলের পাশে ঢেলে দিয়ে পাতার মুখোশ ঝরানো র্মমরধ্বনি তুলে তুমি ক্রমশ প্রকাশিত হও বনের বিস্তারে...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন