শুক্রবার, ১৩ মে, ২০১১

তানভীর আশিক


০১.
দু'একটা প্রজাপতি মরে গেলে হ্যালোজেন রাতে নামে ফড়িঙের ধুম
নিশিঘোরভোরে প্রজাপতির ডানায় খোঁজো প্রাচীন অক্ষর
পাঠ করো নিশি, পাঠ করো ভোর

০২.
তাঁর রক্তে গাঢ় হলে হাতের রুমাল
বাঁশপাতা তির তির বিষণ্ণ কাল:
নিশিনিশি শূন্য অবয়ব এঁকে চলে ভেতরের কাঁচঘর
কাঁচঘরে জমা থাকে অশ্রু, সকাল।

০৩.
জেগে উঠতেই প্রথম রোদে সে ট্রেন হয়ে এলো। দীর্ঘ এবং কামনাময়। পুরনো, কিন্তু এখনো খসে পড়েনি পলেস্তারা এমন একটি দেয়ালে লিখে রেখেছি ভবিষ্যত। সে সেই দিকে তাকিয়ে খানিকটা মুছে দিল চকের হিশেব। বললো, ‘জানো, দেয়ালের চেয়েও এ শহরের বৃক্ষেরা বেশ প্রাচীন। বৃক্ষের আড়ালে প্রতিদিন কতো ঠোঁট ক্ষয় হয়, কতো ঠোঁট সারিয়ে তোলে ক্ষত!' তারপর ট্রেন চলে গেলে ভাবতে হয়Ñ শহরে এতো এতো মনফুল কোথা থেকে আসে?

০৪.
তোমার উঠোন পেরিয়ে গেলো শুক্লপক্ষের নবমীর চাঁদ-
দিঘির পাড়ে নারকেল শিরায় ঝিঁঝিঁর শীকার;
খুব গোপনে বয়ে যাওয়া এক দমকা শেষ রাত্রির নিঃশ্বাস
কানে কানে বলে, তুমি জেগে আছো, রাই?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন