শুক্রবার, ১৩ মে, ২০১১

সৈকত ধারা


সুরের অটল পাহাড়

এক সুর দরিয়ার মাঝি
বাতাসের দুমড়ানো বৈঠায়
ভিড়ালো নাও রঙহীন পাহাড়ের দেশে;
পৃথিবীর জলভাগ মুছে গেলো সুরের নিসীম আবর্তে ।

নামহীন, গোত্রহীন একশেষ অটল পাহাড় ।
মৃত সমুদ্রের দেশ থেকে জলপরী
গুটিয়ে নিলো তার সাপ শীতল দেহ,
ঝর্ণাও সেঁটে গেলো উষ্ণ পাথরের পেটে ।

অলৌকিক লাটির ইশারায় বোবা মাটির ত্বক ফেঁটে
ওঠে এলো আরেক সুর
অজল ঢেউয়ে সাম্পান মাঝি
ঘুরে ঘুরে ওঠে গেলো সেই অটল পাহাড়ে ।

অঙ্কবিমুখ

জীবন এক মিশ্র ভগ্নাংশের খেলা
তবে কেনো বার বার লিখে দেয়া হয়
সরল সমীকরণ মিলাও-
শূন্য, দশমিক আর ভাগ ভাগ খাতায়
কে পেরেছে পৌঁছে যেতে সুনীল সমাধানে?

এইসব অন্ধ অঙ্কের গহ্বরে
পাপের ফসিল খুঁড়ে খুঁড়ে কেটে গেলো
অনেক দেহকাল...
অঙ্কে আজো কাঁচাই আমি
পেকেছে শুধু অবহেলিত আর দুর্বিনীত কিছু সাল।

সম্পর্ক

সম্পর্কেরা বড় বেশি আবেগপ্রবণ
আর আবেগ?
সে তো এক ছায়াচ্ছন্ন ঘনবন;
ছায়ার লোভে সম্পর্ক গড়ে তোলে মানুষের মন।

আরণ্যক

তুমি নিকটে এলে
প্রকৃত আমি উড়ে যাই...
আমি তো পাখি, আরণ্যক; তাই।

পাখি ও খাঁচা

গভীর খাঁচায় শৃঙ্খলিত থাকা
আশ্চর্য পাখি আমার
নিমেষেই ত্রয়োদশ তটিনী আর
সপ্তসলিল পাঠ জানে যোজন পাখা নেড়ে;
তবুও পাখিটাকে খাঁচায় বাঁধি
না হয় তার মুক্তির সাধ জাগে না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন