মন্দিরাকে মনে পড়ে
আরো একবার খুন হওয়ার আগে বুকের এক সংগোপনে
করুণ আর্তনাদের সুর বেজে উঠে-
কোনও মায়া হরিণীর ত্বকে কোনো সৌন্দর্য থাকে না তখন
সবুজ ঘাসের পৃথিবীতে দেখা দেয় নিস্তরঙ্গ বসন্ত
আকাশের মেঘে ভেসে অতিক্রান্ত চতুর সময়
অথচ তেমন কোনো আখ্যান বা গল্প রচনা হয় না তাকে নিয়ে
তার চেয়ে জীবনের সমস্ত ক্লান্তির গল্পই কেবল মুখস্থ হয় বারবার
আওরাতে গিয়ে,
কিন্তু কোন বৃষ্টিময় সন্ধ্যায় তার কথা মনে হলেই আমি ভুলে যাই নিজের কথা
সে কোনো এক পাথর অথবা দেয়ালের পাশে আজ অন্য কোনো চিহ্নের নাম
যার ত্বকে ছিলো পৃথিবীর রঙ-
এর চেয়ে বড় কোনো উপমা পৃথিবীতে ছিলো না কখনও,
আর
কারো কোনও সৌন্দর্যের জন্যও আমি মুখিয়ে ছিলাম না তখন
অথচ সেই সকালে এসেছিল আলোর মশাল হাতে আসা মাটি আমার
তুমি কেমন আছ?
কাকে দেখে চিৎকার করি, বাড়িয়ে দিই হাত
ফিরে তাকাই অন্ধকারে; শরীর থেকে বার করি
ভোরের আলোর অসম্ভব রোদ! চমকে উঠে সে-
ঝালরের পিঠে তাই খেলা করে মিছিমিছি
রঙধনু রঙ- এ বড়ো কঠিন খেলা সই,
আমি তার পথ চেয়ে রই!
দুঃসংবাদের মতো হঠাৎ আসে সেইসব বৃত্তের উপকরণ,
যাদের স্তনে নিতম্বে গ্রীবায় লেপ্টে আছে শুভাশিষ
এবং বৃত্তের ভেতর অতি সহজে যায় মানিয়ে-
মহামান্য পৃথিবীবাসী, চিৎকার করে করে শব্দের গ্রাম
যারা টেনে বাড়িয়ে তুলেছে পৃথিবীতে; কখনো কি
সেইসব শব্দবাজদের চিৎকারকে শুনেছি? কি বলেছে সে?
এই সব শরীরী ভাষা এবং চিৎকারের মর্মকথা টেনে টেনে
আমরা আমাদের পাখি রোগের সিমটমগুলো বলে বেড়াব
.... ডেকে ডেকে ক্লান্ত হয় শাদাপাখি
পাখি তুই কোন ভাষায় কথা বলিস?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন