শনিবার, ১৪ মে, ২০১১

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য


আমিও শূন্যতা এঁকে
১০০৩১০-১০

একটি হাওয়া ছিন্ন করি নিঃশ্বাসের থেকে
একটি হাওয়া জুড়ে দিই চুলের অক্ষরে
বন্দনা ক্লান্তি দিলে কৌণিক রেখা
নির্বাস এসেছে পায়ের পাতা ধরে বহুদিন
ফিরে যাওয়ার পথ জানা নেই কিছু
গন্তব্যের মান সবসময়ই শূন্য

যে আমাকে শূন্য করে রেখেছে আকাশে 
আমিও শূন্যতা এঁকে রাখি


দুপুর গলে বিকেল হয়ে
১০০৩১০-১১

কাউকে বুঝাই না না ঘৃণারতি
বিকেলের প্রান্তে শোধ
ভাঙো জাদু দুবেলা
ভাঙো নিঃশ্বাস
দুইপ্রস্থ বালিখাতা অনুবাদ করি
ভাবি হাহাকার জেনেছি
এ তারও দীর্ঘ
হিরন্ময় অসুখ
বিকেল আসে দুপুরের কাছে
চায় যৌবন

দুপুর গলে বিকেল হয়ে যায়


হলুদের নাম অপরূপা
১০০৩১০-১২

মাঝখানে অনুষঙ্গ ছিলো শাদা চাঁদের খুলি
খুলিতে মদ আর বিভ্রম একাকার
রূপকথা ভেবে আঙুলের নখে দেখি বন্দরের মুখ
বালিরেখা কেঁপে যায় গুহামূলের স্মৃতি
হলুদরঙ উদ্ভিদ শীতল স্পর্শ দিলে ভাবি তৃষ্ণা

হলুদের নাম অপরূপা মেন্ডোলিন


বাঘবন্দী ছকের
১০০৩১০-১৫

নিজেকে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছি
একটা ছক এঁকে নিয়েছি পরিক্রমা
বাঘবন্দী ছক

বহুদূরে একটি গাছের অসুখ
যেতে চাই অসুখের দেশে
অসুখ এমন আছে চোখের নিচে
ছক কেটে প্রলম্বিত করি পথ
রেখা হয় শুধু পথের রেখা
দড়ির উপর হেঁটে ক্ষয় চোখের ভ্রূন

পতন নিশ্চিত জানি
বাঘবন্দী ছকের ভিতর
  
সূর্যে লক্ষ্যস্থির
১০০৩১০-১৩

নিবিড় কুণ্ডলে শুয়ে থাকি
শুয়ে থাকি
দূরাগত অরণ্য মুখে ঝাপটা দেয় শীতল
শীতলতা গ্রামের নাম নেয় দুইবার
তারপর মাইল মাইল প্রস্থান
পানির বোতলে জমা হয় ঘাম
দুহাতে চিরে ফেলি বৈতাল দুপুর
আমি তখন ক্ষিপ্র সেন্টর

সূর্যে লক্ষ্যস্থির করি 

রাত জেগে ভুলে
১০০৩১০-১৬

দেখি আকাশ রঙহীন উড়ছে গড়ু
দেখি মাথার অনেক উপর দুলছে  
মাটি নেই
চারপাশে দিগন্ত আছে একা
মাঝখানে একজন শূন্যতার সুর
আমার ছায়া আছে সন্ধ্যার আগে
তারপরও ছায়া বানাই ছায়ার জাদুকর
তারপর শরীর বুনি চিলের উড়াল

রাত জেগে ভুলে থাকি রাত 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন