রোদ্দুরে শুকোতে দিই
রোদ্দুরে শুকোতে দিই বহুদিন আগের মরচেপড়া পুরনো ছুরি। ছুরির মাথায় প্রজাপতি এসে বসে পড়ে আসা রোদের পিছু পিছু। আমরা তাকিয়ে থাকি দূরে। আরো দূরে আকাশটা জলে ভারি হতে হতে আমাদের চোখে নেমে এলে, আমরা ফালি ফালি প্রজাপতির মাংস নিয়ে ফিরি পৃথিবীর পুরনো পথে। ছুরির মাথায় তখনো নিমফুলের ঘ্রাণ।
শ্লোগান জেগে উঠছে
শ্লোগান জেগে উঠছে... শ্লোগান মুছে যাচ্ছে। আমি তাকিয়ে আছি দূরে। ইলেকট্রিকের খুঁটিতে একটা ফিঙে তাড়া করছে পাঁচ-ছয়টি কাককে। কাকগুলো পালাচ্ছে... আবার পালাচ্ছেও না। তাকিয়ে তাকিয়ে ভাবছি আমি সম্ভবত কারোরই দলে না।
জানালাগুলো মুছে যাচ্ছে
জানালাগুলো মুছে যাচ্ছে একটার পর একটা। দরজার উপরে চড়ুই পাখির বাসা। দরজা আর জানালা সম্ভবত সমকামী। চড়ুইপাখি তাই তার বাসার অবশিষ্ট খড় রেখে আসে জানালার গরাদে। ইস, যদি নতুন চড়ুই আসে...
বৃষ্টি হচ্ছে কোথাও
বৃষ্টি হচ্ছে কোথাও। এখানেও সম্ভবত। আমরা যারা কোনোদিন ঝুমবৃষ্টিতেও মেঘ ধরে দাঁড়িয়ে থাকিনি, ঘাসফড়িঙের চোখে রাখিনি আস্ত একটা সকাল, তারাও একদিন বুকপকেটে শ্রাবণমাস পুরে রাখি আগামী মেঘের জন্য। বৃষ্টি হচ্ছে কোথাও... দূরে কোথাও...
আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টি
আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টি হলো আজ। একটু আগে এ খবরটা বলে গেছে একটা মরাপাখির ছানা। আমরা তখনো ছিলাম মেঘদূতে, মেঘের ওপারে। যেখানে অনন্ত মেঘের অপেক্ষায় একটা অসমাপ্ত নদী শুয়ে থাকে হাঁটুতে মুখ গুঁজে। আর শিয়রে জেগে থাকে পিপাসার্ত চাতক, বৃষ্টির তৃষ্ণায়। আসুন, মৃতপাখির ছানার জন্য, ঝুমবৃষ্টির আগেই আমরা আমাদের কলম তুলে রাখি।
নদী আর এগুলো না
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন